১৬
বর্ষার সেই দিন থেকে শুভময়ীদেবীর চিন্তায় এখন
শুধু ছবি। এতদিন ছবি তাঁর ফ্ল্যাটে ছিল অনেক আসবাবের মধ্যে যেন আরেকটা। চেয়ার বা টেবিল, সকলে
ব্যবহার করে, ঝাড় পোঁছ করে, যত্ন নেয়। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া তার কথা কেউ
মনে করে না। এতদিন তিনি ছবিকে ব্যবহার করেছেন, নতুন জামা কাপড়, ক্রিম পাউডার দিয়ে
সাজিয়েছেন, কিন্তু সারাদিনে একবারও কি তাঁর মনে পড়ত ছবির কথা? কিন্তু এই ক’দিন
স্কুলের হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে ছবিকে। ওর কমনীয় দৃষ্টির
গভীরতা। ওর ব্যবহার, আচার-আচরণ।
ওই দিন শোনা, পড়শী ভদ্রমহিলার উড়ো মন্তব্যটা
দিনরাত্রি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে শুভময়ীদেবীকে। পড়শী মহিলার প্রতি তাঁর
রাগ হচ্ছে ঠিকই – কিন্তু তার থেকেও রাগ হচ্ছে নিজের ওপর। তৎক্ষণাৎ উনি ওই কথার প্রতিবাদ
করলেন না কেন? ছবির মতো একটা মেয়ের – অর্থাৎ কাজের মেয়ের জন্য, প্রতিবেশী মহিলাকে কোন
উত্তর দেওয়া – আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা, সেটাই কী ভাবছিলেন? তার মানে, প্রকৃতপক্ষে
তিনিও কি মনের গভীরে মহিলার ওই কথাটি বিশ্বাস করেন? সেকথা কোনদিন প্রকাশ করেননি
ঠিকই, কিন্তু...। আচ্ছা ধরা যাক ওই মহিলা তাঁর বিট্টু, কিংবা বোন, ভাই, এমনকি তাঁকে
পরিত্যাগ করে চলে যাওয়া তাঁর স্বামী সম্পর্কেও যদি কোন আপত্তিকর কথা বলতেন – তিনি
কি সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করতেন না? সেক্ষেত্রে ঠিক কত সেকেণ্ড লাগত তাঁর
প্রতিক্রিয়া জানাতে? অথচ ছবির ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া-কাল এত ধীর হল কেন? কথাটা
শোনার পর, ছবির কাঁধে ভর দিয়ে তিনতলায় তাঁর ফ্ল্যাটের দরজা পর্যন্ত পৌঁছনোর পর -
সত্যি বলতে - তাঁর মনে হয়েছিল – “ইস মহিলাকে দুকথা শুনিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল”। আসলে
নিজের কাছেই নিজের মুখোসটি তাঁর খুলে গিয়েছে। একথা অস্বীকার কোন উপায় নেই।
ঘরে এসে চেয়ারে বসতে গিয়ে শরীরের
ব্যথাগুলো টের পেয়েছিলেন শুভময়ীদেবী। কোমর, দুই উরু এবং দুই নিতম্বেও বেশ আড়ষ্ট
যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন। ব্যাথা ছিল বাঁহাতের বাহুমূল, কনুই ও কব্জিতেও। পাটা স্লিপ করার মুহূর্তে
তিনি বাঁ হাতে সিঁড়ির হাতলটা খামচে চেপে ধরেছিলেন, এবং মুখ থুবড়ে পড়া আটকাতে আচমকা
শরীরে মোচড়ে দিয়ে সিঁড়ির দ্বিতীয় ধাপে বসে পড়েছিলেন ধপাস করে। এই পুরো প্রতিবর্ত-ক্রিয়ায়, তিনি না জানলেও,
তাঁর শরীর জানে ঠিক কোন কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোন কোন পেশীকে সচল করলে – বিপদটাকে
সম্পূর্ণ এড়ানো না গেলেও –
সহনশীলভাবে
সামলানো যাবে। চেয়ারে শরীরটা ছেড়ে দিয়ে তিনি চোখ বুজে বসে রইলেন কিছুক্ষণ। বুঝতে চেষ্টা
করলেন – তাঁর শরীরের কোন কোন পেশীতে রয়েছে যন্ত্রণার অনুভব। এবং হিসেব করে বুঝলেন,
সারাদিনের কাজ কর্মের মধ্যে, যে বিশেষ পেশীগুলো সর্বদা সচল সেগুলি ছাড়া, তাঁর শরীরের
কিছু কিছু পেশীকে আজ আচমকা অতি-সক্রিয় হতে
হয়েছে। সেই কারণেই প্রায় সারা শরীর জুড়ে তাঁর এই যন্ত্রণা এবং আড়ষ্টতার অনুভব।
ছবি সারাক্ষণই পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে
লক্ষ্য করছিল, চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে উদ্বিগ্ন স্বরে জিজ্ঞেস করল, “মামীমা,
খুব ব্যথা হচ্ছে? ডাক্তারবাবুকে ফোন করব?”
চোখ মেলে ছবির মুখের দিকে তাকিয়ে শুভময়ীদেবী বললেন, “সেটাই বোঝার চেষ্টা
করছি রে। মনে হচ্ছে গরম জলে স্নান করলে ব্যথার অনেকটাই উপশম হবে। নাঃ ডাক্তার ডেকে
লাভ নেই। ডাক্তার এসে কী করবে? বলবে এক্সরে করো, হ্যান করো, ত্যান করো, তারপর কিছু
পেন কিলার দিয়ে বেরিয়ে যাবে। তুই গিজারটা চালু করে দিয়ে আয় তো, ঝট করে চানটা করে নিই”।
“তোমার বাথরুমের গিজার চালু করা আছে অনেকক্ষণ।
রান্না শেষ হওয়ার পর তোমার চানের যোগাড় করতে গিয়ে দেখি তুমি ঘরে নেই। ভাবলাম ছাদে গেছ
– দেখে এলাম সেখানেও নেই। বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন ভাবছি কোথায় গেলে, দেখলাম তুমি মেন
গেট দিয়ে ঢুকছ…”।
“ভাবলাম বৃষ্টিটা ধরে গেছে – টুক
করে বেরিয়ে কটা ডিম নিয়ে আসি – কিন্তু শেষ রক্ষা হল না...”
“কটা ডিম এনেছিলে?”
“ছটা! কেন সব কটাই ভেঙে গেছে
নাকি?”
“দুটো আস্তো আছে – বাকিগুলো
প্যাকেটের মধ্যে ফেটেফুটে গোলা হয়ে গেছে...”।
চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে শুভময়ীদেবী
বললেন, “আমি বরং চানটা সেরে আসি – তুই গোলা দিয়ে যা পারিস কর...”।
ছবি নাক কুঁচকে বলল, “ছিঃ, ডিমের
গায়ে মুরগির গু-মূত লেগে থাকে দেখনি? ওই গোলার মধ্যে সব আছে – ও গোলা আমি ফেলে দেব...”
শুভময়ীদেবীর সুসভ্য কানে “গু-মূত”
কথাটা খট করে বাজল। কিছু বললেন না – কিন্তু ছবির বিচক্ষণতায় বেশ নিশ্চিন্তই হলেন –
কথাটা তাঁর মাথায় আসেনি কেন? বাথরুমে ঢুকে নাতিশীতোষ্ণ জলের ধারার নীচে দাঁড়িয়ে অনেককটাই আরাম ও স্বস্তি বোধ করলেন।
এবং তখনই তাঁর মনে হল – পটি আর গু – ইউরিন আর মূত ... দুটোর মধ্যে তফাৎ কিছুই নেই –
বিদেশী কারুকার্য ছাড়া। এই ছবি দিনের পর দিন মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, তাঁর
পুত্রের গু-মূত সাফ করেছে? নাকি পটি আর ইউরিন? এ নিয়ে তার কথাবার্তায়, আচরণে কোনদিন
কোন বিকার তিনি লক্ষ্য করেননি। সেকি শুধু টাকার জন্যে নাকি অন্য কিছু – যার হদিশ
তিনি রাখেননি, বোঝেনওনি কোনদিন। ছবি কি শুধুই “কাজের লোক”, আয়া, নাকি ঝি? নাকি
মেডসার্ভেন্ট, অ্যাটেন্টডেন্ট? ওই মহিলা কোনটা বললে, তাঁর অস্বস্তি কম হত? তিনি
নিজেও এতদিন ছবিকে ঠিক কোন চোখে দেখেছেন?
ছেলের চির-অসুস্থতা,
স্বামী-শ্বাশুড়ি, আত্মীয়-পরিজনদের শীতল ও উদাসীন দূরত্ব, তাঁকে একদিকে কি স্বার্থপর করে তোলেনি? অন্যদিকে তাঁর কর্মজীবনের
সাফল্য, তাঁর মনে কি অহংকার সৃষ্টি করেনি? তিনি বিপক্ষকে অবহেলায় পরাস্ত করেছেন এবং তার সঙ্গে অক্লেশে উপভোগ
করেছেন তাঁর কর্মজীবন – এই দুই বিপরীত মেরু তিনি মাথা উঁচু করে সামলেছেন একদম একা –
একথা তিনি তো অহরহ চিন্তা করেছেন। তার জন্যে তিনি অনুভব করেছেন শ্লাঘা। কিন্তু আজ মনে
হচ্ছে তিনি সত্যিই কি একা হাতে সব সামলেছেন? নাকি আড়ালে থেকে নিঃশব্দে তাঁকে আরেকজন
কেউ সাহায্য করেছে প্রতিটি দিন – চব্বিশ ঘন্টা? সেই মেয়েটি কি ছবি নয়? ছবি এ বাড়িতে
আসার আগে – প্রায় দ্বিগুণ বা তার বেশি অর্থ ব্যয় করে তাঁরা সেন্টার থেকে যে ট্রেন্ড্
আয়া রাখতেন – তারা দিনের পর দিন তাঁকে ধোঁকা দেয়নি? মনে কী দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ নিয়েই
না তিনি সেসময় স্কুলে যেতেন। সেকথা ভুলে গেলেন কী করে? ছবি নামের এই “কাজের মেয়ে”টি
তাঁকে একদিনের জন্যেও ধোঁকা দেয়নি। তাঁর ভরসাতেই তিনি স্কুলের কাজে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন
নিশ্চিন্তে। স্কুলের শত কাজের চাপেও বাড়ির কথা ভেবে তাঁকে কোনদিন বিপর্যস্ত হতে হয়নি
– কারণ তিনি জানতেন বাড়িতে ছবি আছে।
স্নান সেরে অনেকটাই সুস্থ
বোধ করেছিলেন শুভময়ীদেবী। যদিও হাঁটতে গেলে পিঠে আর কোমরে একটু
ব্যথা এবং সারা শরীরের অসম্ভব ক্লান্তি অনুভব করছিলেন। তাঁর মনে হল খাওয়া-দাওয়া সেরে
দুপুরে নিখুঁত একটা ঘুমের প্রয়োজন। ডাইনিং
টেবিলে বসতেই তাঁর সামনে এসে গেল ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি, ঈষৎ সোনালী রঙের ডিমভাজা আলাদা
একটা প্লেটে আর পটলভাজা।
এক চামচ মুখে তুলে শুভময়ীদেবী
বললেন, “বাঃ অপূর্ব। সত্যিই তোর হাতের ছোঁয়ায় বাদুলে দিনটা সার্থক হল – কিন্তু পাঁপড়
ভাজিসনি?”
“না। ভেজে দেব? দুটো ভাজা রয়েছে
– চাটনি করেছি…তাই আর…। সন্ধেয় কফির সঙ্গে পাঁপড়ভাজা আর পেঁয়াজি…”।
“ওক্কে, ঠিকই করেছিস – কিন্তু
তোর প্লেট কোথায়? নিয়ে আয় – খিচুড়ি জুড়িয়ে গেলে মোটেই ভালো লাগে না…”। কথাগুলো বলেই
শুভময়ীদেবী একটু অস্বস্তি অনুভব করলেন। এমন কথা তো তিনি কোনদিন বলেননি ছবিকে। আজ কেন
বললেন? নীচের ওই ভদ্রমহিলার কথায় তাঁর যে বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠেছে – এটা কি তারই বহিঃপ্রকাশ?
সেক্ষেত্রে তাঁর তো ওই ভদ্রমহিলাকে “থ্যাংক্স্ আ লট” বলা উচিৎ, দু কথা শোনানোর কোন
প্রশ্নই ওঠে না।
“আমি পরে খাচ্ছি, তুমি এখন
শান্তিতে খাও তো। চাটনিটা নিয়ে আসি…” বলে দ্রুত চলে গেল রান্নাঘরে। শুভময়ীদেবী ভাবলেন
তাঁর বলাটা একটু দৃষ্টকটু রকমের বাড়াবাড়ি হয়ে উঠল – যাকে বলে শো অফফ্। ছবি এটাকে ঠিক
কি বলতে পারে – ঢং নাকি আদিখ্যেতা? শুভময়ীদেবীর হাসি পেল।
চাটনিটা আনারসের – একটা প্লেটে
এনে তাঁর হাতের কাছে রাখল ছবি। তারপর গামলা খুলে আরও দুহাতা তপ্ত খিচুড়ি তুলে দিল শুভময়ীদেবীর
প্লেটে।
“দুহাতা দিয়ে দিলি? বেশি হয়ে
গেল অনেক…এত খাই আমি কোনদিন”?
“আজ – ছুটির দিন – খাও না বেশি করে – দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিলেই সব হজম হয়ে যাবে…”।
খাওয়া
শেষ করে, নিজের ঘরের দিকে যেতে যেতে শুভময়দেবী বললেন, “বেলা হল অনেক, তাড়াতাড়ি
খেয়ে নে, ছবি”। ছবি উত্তর দিল, “এই তো চানটা সেরেই খেয়ে নেব”।
বিছানায়
শোয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। গভীর ঘুম যাকে বলে। ছবিই ঘুম ভাঙাল
– কফি আর পাঁপড় ভাজা – পেঁয়াজি নিয়ে। লোভনীয় গন্ধে বেশ চনমনে মেজাজে বিছানায় উঠতে
গিয়েই টের পেলেন – তাঁর কোমরের দুই পাশ আড়ষ্ট – বেশ যন্ত্রণা অনুভব করলেন। মুখে
ফুটে উঠল ব্যথার অভিব্যক্তি।
উদ্বিগ্ন
কণ্ঠে ছবি বলল, “ব্যাথাটা রয়েছে এখনো? ও বেলার থেকে কমেছে নাকি আরও বাড়ল? কফিটা
খেয়ে ডাক্তারবাবুকে একবার ডাকবে নাকি?”
ম্লান
হেসে শুভময়ীদেবী বললেন, “কমেছে অনেকটা। আজকের দিনটা দেখি – তারপর যা হয় করা
যাবে...”।
“তাহলে
তুমি কফিটা খেয়ে নাও, আমি বরং সামান্য গরম তেল নিয়ে এসে তোমার কোমরটা একটু ডলে দিই,
দেখো আরাম পাবে”।
ছবি গরম
তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে দেওয়ার কথা বলতে, তাঁর ভালই লাগল। এসব টোটকাতে অনেক সময় কাজ হয়। শুভময়ীদেবী তৃপ্তি পেলেন পেঁয়াজি
এবং ভাজা পাঁপড়ের কুড়মুড় শব্দ সঙ্গতে কফিতে চুমুক দিয়েও।
কফি শেষ হতে না হতেই ছবি সাঁড়াশিতে
ধরে ছোট্ট বাটিতে করে তেল গরম নিয়ে এল, বলল, “চট করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ো তো…দেখি কোথায়
তোমার ব্যথা”।
বাধ্য
মেয়ের মতোই শুভময়ীদেবী উপুড় হয়ে শুলেন। তাঁর পাশে বসে ছবি দুহাতে তেল মেখে কোমরে
তেল ডলতে লাগল – তেলের উষ্ণতা আর ছবির হালকা স্পর্শে বড়ো আরাম অনুভব করলেন। কিছুক্ষণ পরে জিজ্ঞাসা
করলেন, “এসব তুই কার থেকে শিখেছিস, রে পাকাবুড়ি?”
“কেন?
আরাম হচ্ছে না? শিখেছি আমার দিদুর থেকে এবং মায়ের থেকেও। দুজনেই চার-পাঁচ বাড়ি কাজ
করে তো – ওদেরও মাঝে মাঝে মাজা কনকন করে – বিশেষ করে বর্ষার দিনে। দুজনেরই বয়েস
হচ্ছে – কতদিন আর এভাবে টানতে পারবে কে জানে?” শেষ কথাগুলো শুভময়ীদেবীর মন ছুঁয়ে
গেল। বড়ো মায়া হল ছবির ওপর। সংসারের সুরাহা করতে, মা আর দিদুর সঙ্গে মেয়েটা সেই
কবে থেকে কাজে লেগে পড়েছে। কিন্তু ওদের দুঃখের দিন যেন শেষ হবার নয়।
শুভময়ীদেবী
মন দিয়ে ছবির আন্তরিক স্পর্শ অনুভব করতে করতে ভাবলেন, তাঁদের কর্মজীবনের একটা সীমা
আছে – আছে অবসরের বয়েস। সেই বয়সে পৌঁছে আর কাজ করতে হয় না। কাজ না করলেও কিন্তু
তাঁদের তেমন কিছু দুশ্চিন্তা থাকে না। পেনসন আছে, পিএফ-গ্র্যাচুইটি আছে। সঞ্চয়
আছে। কিন্তু এদের? আমৃত্যু লড়তে হবে – দুটি অন্ন সংস্থানের জন্যে, বছরে তিন-চারটে
কাপড়ের জন্যে। তবু ভালো মাথা গোঁজার জন্যে ছবির দিদুর একটা বাড়ি আছে। তা না থাকলে
এক চিলতে বাসার ভাড়ার জন্যেও ওদের লড়াই করে যেতে হবে আজীবন।
এই পরিবারটা তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে – শুভময়ীদেবী ভাবলেন – এবার সময় এসেছে এদের জন্যে কিছু একটা করার। তাঁর জীবনটাকে যে বা যারা নিশ্চিন্ত রেখেছে এতদিন ধরে, তারা কি একটু সুখের প্রত্যাশা করতে পারে না?
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন