শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

গেলেম নতুন দেশে

 

এতদিন স্কুল আর বাড়ি, বাড়ি আর স্কুল - এই নিয়ে চলছিল আমার রুটিন বদ্ধ জীবনযাত্রা। ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন পার করে, টেস্ট হয়ে স্কুল ছুটি হয়ে গেল। মাস দুয়েক পরেই ফাইন্যাল – মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের পহেলা পারাও। এবারের পরীক্ষা ক্লাসের তিন সেকশনের নব্বইজন সহপাঠীদের মধ্যে সীমিত নয়। আসমুদ্রহিমাচল বঙ্গবাসী সকল সহপাঠীদের মধ্যে – তার সংখ্যা বেশ কয়েক লক্ষাধিক। এই পরীক্ষা যেন ময়দান – এ – জঙ্গ! কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। নিরপেক্ষ বিচারক – যাঁর সঙ্গে আমাদের কারুর প্রত্যক্ষ কোন পরিচয় নেই। আড়ালে থেকে আমাদের জন্যে কোয়েশ্চেন সেট করবেন, আড়ালে থেকেই আমাদের অ্যানসারশীট দেখে নম্বর বসিয়ে দেবেন। আমাদের নম্বর প্রাপ্তি থেকেই বোঝা যাবে কার কত বিদ্যের দৌড়!

আমাদের মধ্যে যতটা উত্তেজনা ছিল, ততটা দুশ্চিন্তা ছিল না। দুশ্চিন্তা ছিল বাবা মায়ের। বাবা অফিস থেকে নিত্য নতুন ঘটনা শুনে আসতেন – আর সন্ধ্যেবেলায় ঘরে ফিরে রোজ মায়ের কাছে গল্প করতেন –

-‘আজ মল্লিকদা যা বলল না, শুনলে শিউরে উঠবে’!

-‘কি, গো’?

-‘বছর কয়েক আগে, পরীক্ষা শেষ হবার চার-পাঁচ দিন পরেই, এক গাদা পরীক্ষার খাতা সোদপুরের এক মুদির দোকানে নাকি পাওয়া গিয়েছিল’

-‘বলো কি? কি করে ধরা পড়ল’?   

-‘একজন ছেলে ঐ দোকান থেকে চিনি কিনে ফিরছিল, হঠাৎ হাতের ঠোঙায় চোখ পরতে তার সন্দেহ হয়। ঘরে এসে ভাল করে দেখে নিশ্চিত হয়-ওইবারেরই পরীক্ষার খাতার একটা পাতা। কারণ ওই ছেলেটিও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সেবার-’।

-‘সর্বনাশ, তারপর কি হল’?

-‘এর আবার কিছু হয় নাকি? ছেলেটার বাবা-মা পাড়ার লোকজন নিয়ে থানায় গিয়েছিল, সেখান থেকে দোকানে। বেশ কিছু খাতা উদ্ধার হয়েছিল – বাকি....ওই আর কি...তদন্ত চলছে’।

-‘আর চিনির ঠোঙা...’?

-‘সে আর কি হবে, কিছু একটা নম্বর পেয়ে পাস হয়ে যাবে...’।

-‘ইস, ছেলেটি যদি ভালো ছেলে হয়, হয়তো আশা করে থাকবে ভালো নম্বরের, শেষে কিনা শুধু পাস নম্বর...ছি ছি...’

-‘তা ঠিক, আর যদি তোমার ঘুনুসোনার অঙ্ক খাতা হয়, তাহলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচে যাবে..., কি বলিস রে, পান্না’? বাবার কথার শ্লেষটা শেষমেষ আমার দিকেই এল! আমি কিছু বলার আগেই, মা বলে উঠলেন –

-‘এই তিন সন্ধ্যেবেলায় অলুক্ষণে কথা তোমার মুখে দেখি আটকায় না। যাও, যাও, মুখ হাত ধুয়ে নাও, মুড়ি মাখছি...আমার আবার রাতের রান্না আছে’।

 

বাবা হাসতে হাসতে বাথরুমে চলে যেতে, মা করুণ চোখে, প্রায় চুপিচুপি আমাকে জিগ্যেস করলেন, ‘হ্যারে, ঘুনু, অঙ্কটা খুব শক্ত লাগে, না? কিচ্ছু পারছিস না?’ 

আমি খুব গম্ভীরভাবে মাকে বলেছিলাম, ‘ও নিয়ে তুমি ভেবো না তো, মা। বাবা সবেতেই একটু বাড়িয়ে বলে...’। আমার উত্তর শুনে মা কতটা নিশ্চিন্ত হলেন জানি না, তবে সন্ধ্যাদীপ আর ধূপ জ্বলা ঠাকুরের সিংহাসনের দিকে জোড়হাতে নমস্কার করে বললেন, -‘দুগ্‌গা, দুগ্‌গা, সব ঠিক মতো দেখো, মা’।

 

মা রান্না ঘরে চলে গেলেন জলখাবারের জোগাড় করতে। আমার ওপর বাবার অনাস্থায় আমার মধ্যে কোন ব্যতিক্রম আসে নি, কিন্তু মা আমাকে অগাধ বিশ্বাস করে সেদিন আমাকে বিপন্ন করে দিয়ে গেলেন...।

 সারাদিন পড়া পড়া খেলা খেলতে খেলতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। মায়ের নিরন্তর তাগিদ, বাবার একটা দুটো মন্তব্য – সে সময় পড়তে বসা ছাড়া পরিত্রাণ ছিল না। কিন্তু এও দেখেছিলাম সারাটা সকাল মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের মুখ্য কারণ মুখস্থ করার পর – বেলা বারোটা নাগাদ অওরঙজেবের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে বিন তুঘলকের শাসন ব্যবস্থা গুলিয়ে ফেলেছিমনে হত সারাটা সকাল ধরে পড়া ইতিহাস বইয়ের অক্ষরসমূহ আমার মাথার মধ্যে একটাও নেই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে আমার চেয়ারের চারপাশে – মেঝেয় এবং ধরা দিচ্ছে না কিছুতেই।

এহেন সময়ে একদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ স্কুলের এক বন্ধু এসে আমাদের বাসায় উদয় হল। আমাকে বলল, ‘জয়ন্তর বাড়ি যাবো, চ। ওর কাছে অঙ্কের সাজেসান আছে, টুকে আনতে হবে। ওই সাজেসান থেকে নাকি নব্বই ভাগ অঙ্ক আসবেই...কাজেই এমন সুযোগ হাতছাড়া করার কোন মানে হয় না...’।

 

আমার মায়ের দেওয়া মিষ্টি আর জল খেতে খেতে মাকে আমার সম্বন্ধে এমন সব সোনালী মন্তব্য সে করতে লাগল, শুনে মা মুগ্ধ হয়ে গেলেন। কাজেই আমি যখন বাইরে বেরোনোর জন্য রেডি হলাম, মা আমার হাতে গুঁজে দিলেন পাঁচ টাকার একটি নোট।  

 পথে বেরিয়ে আমার সেই বন্ধুটি বলল জয়ন্তর বাড়ি নয় আমাদের গন্তব্য ধর্মতলা – ‘নিউ এম্পায়ার’ সিনেমা। সেখানে ‘দ্য এক্সরসিস্ট’ চলছে। দারুণ সিনেমা। বীভৎস ভয়ের বই। আমেরিকায়, ইংল্যান্ডে নাকি হলের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স রাখা থাকত, এই সিনেমা চলাকালীন – ভয় পেয়ে অসুস্থ লোকেদের হসপিটালে ক্যারি করার জন্যে। আমরা ভারতীয়রা তো খুব ডরপুক, তাই অনেক সিন নাকি কেটে দিয়েছে। কিন্তু তাও যা আছে সেও বড়ো কম নয়।

মাথা নীচু করে আমি শুনতে লাগলাম ওর কথা। দোলাচলে আমার মন তখন বিভ্রান্ত। এক, মায়ের সঙ্গে এহেন মারাত্মক শঠতা আমার এই প্রথম। কোনমতেই এটা উচিৎ কর্ম হলো না। ফিরে যাবো কিনা ভাবছিলাম। অন্যদিকে বাড়ির বন্ধন থেকে মুক্তি। সারাটাদিন পড়া আর পড়া্র একঘেয়েমি থেকে মুক্তি। তার সঙ্গে বাড়ির অজানিতে সিনেমা দেখার অনাস্বাদিত রোমাঞ্চ। কাজেই, ফিরে আসার সিদ্ধান্তটা ঠিক দানা বেঁধে উঠল না, বরং ট্রাম ধরে ধর্মতলার মোড়ে নেমে, বাকিটা হেঁটে, পৌঁছে গেলাম নিউ এম্পায়ারের আঙ্গিনায়। 

 

সেখানে পৌঁছে দেখি আরো দুই বন্ধু আমাদের জন্যে অপেক্ষারত। অর্থাৎ এই প্রথম চারজনে একত্র হওয়া গেল স্কুলের বাইরে, একবারে এই নতুন সাম্রাজ্যের গন্ডিতে। আমাদের এক বন্ধু সিগারেট কিনেছিল, প্যাকেট থেকে একটা নিজে নিয়ে সে খুব মুরুব্বি চালে ‘খাবি নাকি’, বলে আমাদের দিকে প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল। উইল্‌স্‌ ফ্লেকের প্যাকেট – হাতে নিয়ে খুলে দেখলাম তাতে তিনটেই আছে। একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে সকলেই একটা করে সিগারেট নিলাম। তারপর পাশের সিগারেটের দোকানের একটু তফাতে টাঙানো নারকেলের দড়ি থেকে ধরিয়ে নিলাম নিজের নিজের সিগারেট। মোটেই কোন মজা পেলাম না। তামাক আর কাগজের পোড়া গন্ধে নিঃশ্বাস আর মুখের ভিতরটা কেমন অদ্ভূত বিস্বাদ হয়ে উঠল। কিন্তু ছাড়লাম না সিগারেটটা, কারণ স্বাদটা বড় কথা নয়, সেদিন নিউ এম্পায়ারের সামনে, সমস্ত কিছু মিলিয়ে আমরা এক নতুন জীবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলামসেই দরজা যেন আলগা ভেজানো - আমাদের হাতের অল্প ছোঁয়ায় উন্মুক্ত হতে যা দেরি।

 

সিগারেট শেষ করে আমরা ঢুকে পড়লাম নিউএম্পায়ারের পঁচাত্তর পয়সার খাঁচার লাইনে। লোহার শক্ত কাঠামো দিয়ে তৈরি সংকীর্ণ পিঞ্জরপথ। একজনের বেশী পাশাপাশি দাঁড়ানো যায় না। পৌনে এগারোটায় আমরা যখন সেই খাঁচায় ঢুকলাম, আমাদের সামনে অন্ততঃ জনা চল্লিশেক সিনেমারসিক ছিলেননুন শোর শুরু বেলা বারোটায়, টিকিট দেওয়া শুরু হবে তার মিনিট পনের কুড়ি আগে। কাজেই ওই আবদ্ধ অবস্থায় অভিজ্ঞ সিনেমা রসিকদের থেকে জ্ঞান আহরণ করা ছাড়া, আমাদের চারজন শিক্ষানবিশের তখন আর কিছুই করার ছিল না।

 

পৃথিবীতে কোন পাণ্ডিত্যই বোধহয় অবিতর্কিত নয়, বিভিন্ন পণ্ডিতের বিপরীত মতামতের জন্যেই যে কোন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করা দুরূহ। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। কলকাতার ওই অঞ্চলের বিভিন্ন সিনেমা হলের পঁচাত্তর পয়সার টিকিটে সিট সংখ্যা কত এ নিয়ে সেদিন বিস্তর আলোচনা শুনেছিলাম। নিউ এম্পায়ারের সিট সংখ্যা নিয়ে বেশ কজন সিনেমারসিকদের বাকবিতণ্ডায় আমরা যথোচিত বিভ্রান্ত হতে পেরেছিলামকেউ বলেছিল মেরে কেটে শতখানেক হবে, কেউ বলেছিল আড়াইশ, আরেকজন গম্ভীরভাবে বলেছিল – একশ আটান্ন। যে একশ আটান্ন বলেছিল, সে কতগুলো রো এবং প্রত্যেক রোতে কতগুলো সিট - তার নিখুঁত বর্ণনা দিয়ে, জটিল অঙ্কের হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছিল কিভাবে একশ আটান্ন!

-‘আড়াইশো হোক অথবা শতখানেক, আমরা তো টিকিট পাবোই, কি বলেন - আমাদের আগে তো জনা চল্লিশেক হবে মেরেকেটে’? আমাদের এক বন্ধু, আসন-বিতর্ক থেকে মুক্তি পেতে বলে ফেলেছিলতাতে ফল হয়েছিল একদম উল্টো, আশেপাশের সক্কলে নানান সুরে এবং স্বরে এমন হেসে উঠল, আমরা হতবাক। হাসির গমক কমতে একজন খুব স্নেহমাখা স্বরে আমাদের বলল –

-‘ভাইয়েরা বুঝি এ লাইনে, নতুন? একটু দাঁড়ান - টিকিট কাউন্টার খোলার সময় হলেই দেখবেন মজাটা মাথায় হাঁটু দিয়ে তালতলা আর জানবাজারের ছেলেরা সবাই কেমন সামনে চলে যাবে, তারা যদি সমস্ত টিকিট না নিয়ে নেয়...’ এই অব্দি বলেই সে ভদ্রলোক থেমে গেল। আমরা স্বাভাবিকভাবেই খুব মুষড়ে পড়লাম, বাড়িতে এত মিথ্যে বলে, এতদূর এসেও সিনেমা দেখা হবে না! আমার মনে হল – ঠিকই তো হয়েছে, মাকে মিথ্যে বললে কোন কাজ ভাল হয় না, এই তো তার প্রমাণ! আমি আমার বন্ধুদের বললাম –

-‘এতক্ষণ, বেকার দাঁড়িয়ে থেকে কি হবে, চল কেটে পড়ি’। আমার কথা শুনে আমাদের পিছনে দাঁড়ানো দু-তিন জন হ্যা হ্যা করে হেসে বলল –

-‘কেটে পড়ব বললেই হবে, পিছনে লাইনটা দেখেছেন, আপনারা বেরোতে পারবেন নাকি’? সত্যি ঘাড় ঘুরিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম আমাদের পিছনের সর্পিল পিঞ্জরপথ সদর রাস্তা পর্যন্ত ভরে গেছে – কম করে হলেও শ দুয়েক লোক তো হবেই আমাদের পিছনে...। আর এত সংকীর্ণ খাঁচায় পাশ কাটিয়ে বের হওয়া একরকম অসম্ভব। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে – কি আবার হবে-কপালের লিখন?

 

সেই বদ্ধ খাঁচায় আমরা কতক্ষণ নানান জনের নানান আলাপ শুনতে থাকলাম। বিড়ি, সিগারেটের  ধোঁয়া – মাঝে মাঝে আরেকটি উৎকট ধোঁয়ার গন্ধ (পরে জেনেছিলাম ওটা গঞ্জিকার গন্ধ) শুঁকতে থাকলাম। হঠাৎ মধুচক্রে লোষ্ট্রবৎ - আমাদের সামনে পিছনে সকল মানুষ তৎপর হয়ে উঠল। আর পিছনে শুনতে পেলাম গালাগালির একটা ঢেউ ক্রমশঃ এগিয়ে আসছে। একদল হিন্দীতে, আরেক দল বাংলাতে অশ্রাব্য গালাগাল দিচ্ছে। হিন্দীর প্রচণ্ড দাপট, বাংলা সে তুলনায় অনেকটাই ক্ষীণ।  অনেকক্ষণ শুধু শোনা যাচ্ছিল, এবার দেখাও গেল। জনা পাঁচ – সাত হবে, হাট্টা কাট্টা নেপালি চেহারার ছেলে খাঁচার ভিতরের দিকে লোহার ফ্রেমে দু হাতে ঝুলতে ঝুলতে খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে। কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না, কিন্তু তারা দু পায়ে লাথি ছুঁড়ছে অনবরত আর চিৎকার করে হিন্দীতে গালাগাল দিচ্ছে সক্কলকে। তাদের লাথিতে প্রতীক্ষারত লোকগুলো মাথায় ঘাড়ে চোট খেয়ে বাংলায় গাল পাড়ছে। চট করে ইতিহাস উপলব্ধি হল – যারা পরাজিত তাদের গালাগাল বা অভিশাপে কোনদিনই জোর থাকে না...।

 

শেষমেষ তারা আমাদেরও মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল বৃষ্টিহীন ঝড়ো মেঘের মতো। আমরা বীরত্বে বিশ্বাসী নই, তাই আগে থাকতেই বসে পড়েছিলাম। কাজেই চোট পেলাম না, তবে গালাগাল শিখলাম বিস্তরওরা সামনে চলে গেলআর কি আশ্চর্য ওরা পৌঁছনোমাত্রই যেন সামনের লোহার গেট খুলে গেল – আর টিকিট কাউন্টারও চালু হয়ে গেল। টিকিট পাব কি-পাব না দুশ্চিন্তায় শনৈঃ শনৈঃ এগোতে এগোতে টিকিট কাউন্টারে পৌঁছনো গেল – আর কি অবাক কাণ্ড লটারির টিকিটের মতোই টিকিটও হাতে চলে এলো...

 

মুঠিতে টিকিট নিয়ে এবার দৌড়, সিঁড়ির পর সিঁড়ি পার হয়ে আমরা উঠতেই লাগলাম। বেলা বারোটাতেও সে সিঁড়ি আধো অন্ধকার...। টিকিট তো হয়েছে এবার আসন দখলের পালা। সিট নাম্বার নেই- যে আগে যাবে সেই পাবে ভালো সিটগুলি। কাজেই দৌড়, দৌড়...এ এক নতুন জীবনের পাঠ – এরপর ট্রেনে-বাসে-সিনেমাহলে সর্বত্র অন্যকে ঠেলেঠুলে, ধাক্কা মেরে উঠতে থাকব, উঠতেই থাকব...

--০০--

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নতুন পোস্টগুলি

গেলেম নতুন দেশে

  এতদিন স্কুল আর বাড়ি, বাড়ি আর স্কুল - এই নিয়ে চলছিল আমার রুটিন বদ্ধ জীবনযাত্রা। ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন পার করে, টেস্ট হয়ে স্কুল ছুটি ...