[প্রত্যেকটি লেখা সরাসরি আপনার মেলে পেতে চাইলে, ডান দিকের কলামে "ফলো করুন" 👉
বক্সটি ক্লিক করে নিজের নাম ও মেল আইডি রেজিস্টার করে নিন। এই ব্লগটি আপনি মোবাইলে পড়লে,
স্ক্রিন ডিসপ্লে মোডটি ডেস্কটপ মোডে চেঞ্জ করে নিলে ডানদিকের কলমটি নজরে আসবে।]
তিন
ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়ো, আমার ঠাকুরদাদা ছিলেন ঘোরতর ইংরিজীভাষা বিরোধী, গোঁড়া
সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত। টোল এবং ভট্টপল্লীর সংস্কৃত শিক্ষা ছাড়া হিন্দুসমাজের যে পরিত্রাণ নেই
সে বিষয়ে তিনি ছিলেন দৃঢ বিশ্বাসী। তাঁর ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর মেজভাই –
আমাদের মেজদাদু এন্ট্র্যান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন। আর সে পরীক্ষায় অংক আর
সংস্কৃতে পাওয়া সোনার মেডেলদুটি দাদার পায়ে উৎসর্গ করে যখন নত মুখে দাদার সামনে
দাঁড়িয়েছিলেন, দাদা বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন ভাইয়ের সাফল্যে তিনি গর্বিত
এবং এই সংস্কৃতর জ্ঞানই যে তাঁর ভাইকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে, এ বিষয়ে
তিনি স্থির নিশ্চিত।
কিন্তু
ঘরবাড়ি ছেড়ে, গ্রাম ছেড়ে, দাদুকে গ্রামসমাজে কঠোর শাস্ত্রবিধির প্রসারে সহায়তা না
করে, মেজদাদু যখন কলকাতায় এসেছিলেন সরকারি ‘গোলামি’ করতে, তখন তিনি ভীষণ বিরক্ত ও
হতাশ হয়েছিলেন। এমনকি বিদায়ের সময় মেজদাদু যখন দাদুকে প্রণাম করেছিলেন,
দাদু কোন আশীর্বচনও উচ্চারণ করেন নি মেজদাদুর উদ্দেশে। পরে মেজদাদু গ্রামে ফিরে
দাদার পায়ে যখন প্রথম মাসের চোদ্দ টাকা ছ আনা বেতন নিবেদন করেছিলেন, তখনো দাদু কোন
কথা বলেন নি, গম্ভীরভাবে আমার বালক বাবাকে ডেকে বলেছিলেন টাকাকটা তুলে ঠাকুমার
হাতে দিতে।
এসব
কথা বাবার মুখে শোনা। বাবার কাছেই শুনেছিলাম পিতৃসম বড়োদাদাকে এতটুকু অসম্মান না
করেও, বিনীত অথচ বিদ্রোহী মেজদাদুর এই বাস্তব ও যুগোপযোগী চেতনার কথা। এই মেজদাদুর
প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাবাও ইংরিজি শিক্ষার আলোয় আসতে পেরেছিলেন এবং কলকাতায়
আসতে পেরেছিলেন উচ্চতর শিক্ষার প্রাঙ্গণে। কলেজে পড়ে বাবার চূড়ান্ত অধঃপাত অবিশ্যি
দাদুকে দেখে যেতে হয়নি, কারণ আমার দাদু বিগত হয়েছিলেন বাবা কলেজে পড়ার শেষদিকে।
কাজেই
প্রত্যক্ষভাবে আমার বাবার জীবনে এবং পরোক্ষভাবে আমাদের জীবনেও মেজদাদুর ছিল
অপরিমিত অবদান। এককথায় তাঁরই একক প্রচেষ্টায় আমাদের সমস্ত পরিবারটিই, অন্ধ
কূপমান্ডুক্য থেকে মুক্তির আলোর সন্ধান পেয়েছিল।
আমাদের ছোটবেলায় তাঁর শিবপুর ট্রামডিপোর কাছাকাছি বাড়ি থেকে মেজদাদু আমাদের শ্রী গোপাল মল্লিক লেনের বাসায় আসতেন অনায়াস পদব্রজে। আমরা অবাক হলে সৌম্য হাসিতে ভরে উঠত তাঁর সদাশিব মুখ, বলতেন, ‘এ আর কি এমন দূর গো। এখন বয়েস হয়েছে, তেমন আর হাঁটতে পারি কই? হাঁটতাম তখন - প্রত্যেক মাসে একবার কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরতাম, দুহাতে থাকত দুটো চটের থলিভরা মাসকাবারি বাজার, পূর্বস্থলী স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে আমাদের শুরু হত হাঁটা। তা প্রায় ধরো আট-ন’ ক্রোশ তো হবেই -’।
‘ক্রোশ মানে’?
‘ক্রোশ মানে ধরো প্রায় দু মাইল, তোমাদের এখনকার হিসেবে
প্রায় সওয়া তিন কিলোমিটার। তোমাদের বাবাও যখন কলেজের ছুটিতে বাড়ি আসত, ওইভাবেই
আসত...’।
‘অত্তোটা পথহাঁটা, কষ্ট হত না, দাদু’? আমার প্রশ্নের উত্তরে আমার পিঠে হাত রেখে উনি বলেছিলেন, ‘আসলে কি জান, দাদু, আমরা ওই বয়সে কেউই কলকাতাকে নিজের জায়গা হিসেবে ভাবতেই পারতাম না। কলকাতা ছিল নিছক কর্মস্থল, পরবাস। এখানে কেউ থাকে নাকি? ঘরবাড়িউঠোন, জমিজিরেত, পুকুরপাড়, মন্দিরতলা, ঠাকুর-দালান, পাড়া প্রতিবেশী – সব মিলে মিশে এমনই সে মমত্ব ও মায়া – যার টান, সারাটা মাস আমাদের অনুভবে থাকত। শনিবার বিকেলে বড়বাজারে চটের থলি ভরা জিনিষপত্র কিনে হাওড়ার পন্টুন ব্রীজ পার হয়ে যখন ট্রেনে চাপতাম – নিজেকে মনে হত জেল থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েদি। কি প্রবল আকর্ষণই না ছিল আমাদের ছেড়ে আসা ওই গ্রামজীবনের। কষ্ট হতো, ভীষণ কষ্ট হতো, বর্ষার দিনগুলোয় তো বটেই - কিন্তু সহ্যও হয়ে যেত ওই মায়ার অদ্ভূত আরামে...’।
দাদুর উচ্চারণে, বলার ভঙ্গীতে এমন কিছু থাকত, আমরাও যেন চোখের সামনে কল্পনা করতে পারতাম সেই পথচলা। ভরা বর্ষায় বেড়ে ওঠা সতেজ ঝোপঝাড়-জঙ্গলে সঙ্কীর্ণ হয়ে আসা পথ। নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে জোনাকির নাক্ষত্র্য আলোক। ঝিঁঝিঁর একটানা ডেকে চলা। পুকুর বা জলার ধারে ব্যাঙের কোলাহল। দলবদ্ধ শেয়ালের চকিত ছোটাছুটি আর সমবেত হুউউক্কা হুউউয়া। অথবা পূর্ণিমায় আলোকিত শরতের স্বচ্ছ রাত। কিংবা শীতের ঘন কুয়াশার রহস্যে ঢাকা পরিবেশে ঘরে ফেরা কয়েকটি মানুষের অবিরত সুদীর্ঘ পথ হেঁটে চলা – যা শেষ হত নিজ নিজ গ্রামে এবং প্রায় শেষ রাতে।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মেজদাদু আবার বললেন, ‘আজকাল সারাদিনে কত ট্রেন, কত বাস – হাঁটতেও হয় না আর তেমন, এখন গ্রাম অব্দিই প্রায় বাস চলে যাচ্ছে। কত সুবিধে হয়ে গেছে, দাদুভাই। তবু যাওয়া হয়ে ওঠে না। কতদিন যাইনি, জান – তা প্রায় বছর দশেক তো বটেই। এখন বুঝতে পারবে না দাদুভাই, বড়ো হলে বুঝতে পারবে – কোন দূরত্বই দূর নয়, কোন কষ্টই বেদনা নয়, যদি তার পিছনে থাকে তোমার অন্তরের সাড়া। আর যদি তা না থাকে ঘরের উঠোন পার হতেও মনে হবে অনন্তপথযাত্রা’!
গৌরবর্ণ,
শুভ্রকেশ, শুভ্রভ্রূ বেঁটে-খাটো সেই বৃদ্ধ মানুষটি, এমনই এক সোনালী মায়াময় অথচ বেশ
কষ্টকর অতীত জীবনের ঐতিহ্যময় ইতিহাস, আমার বালক হৃদয়ে এঁকে দিতে পেরেছিলেন, যা আজও
আমার কাছে অম্লান।
ক্লাশ
সিক্সের মাঝামাঝি, এক রোববারে বাবা খুব বকা খেলেন আমাদের মেজদাদুর কাছে। আমাদের
সামনে বকা খেয়ে, মাথা নীচু করে চুপ করে রইলেন বাবা! যেমন আমরা বাবার কাছে বকা খেয়ে
মুখ কাঁচুমাচু হয়ে থাকতাম - অবিকল সেরকম। তার আগে পর্যন্ত জানতাম বাবারাই শুধু বকা
দেন – তাঁরাও যে বকা খেতে পারেন সেদিন চাক্ষুষ করে খুব মজা পেয়েছিলাম। তবে
মেজদাদুর বকা মানে যে চেঁচামেচি - রাগারাগি তাও নয়, সেও এক অদ্ভূত
আত্মবিশ্লেষণ।
সেদিন সকাল থেকে দাদুর কাছে আমার সংস্কৃতচর্চার পর, দ্বিপ্রাহরিক ভোজনে বসেছিলাম আমরা চারজন, মেঝেয় আসন পেতে। সামনে বসে ঘোমটা মাথায় মা পরিবেশন করছিলেন। মায়ের রান্নার একান্ত ভক্ত মেজদাদু, রুই মাছের মুড়ো দেওয়া মুগের ডালে ভাত মেখে কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে খেতে কথাটা তুললেন, ‘বৌমা, নারাণকে আমরাই সঠিক মানুষ করে তুলতে পারিনি, ও কোনদিনই আর প্রাপ্তমনস্ক হবে না। তুমি তো মা, এমন না - ছেলেদুটোর পৈতে দেবার কথা, তুমি কি ভাবছ’?
অকস্মাৎ দাদুর এই কথায় মা ও বাবা দুজনেই অপ্রস্তুত। ঘোমটার আড়ালে মা বাবার দিকে তাকালেন, বাস্তবিক এই ব্যাপারে মা অনেকবারই বাবাকে তাগাদা দিয়েছেন, কিন্তু বাবাই এ বছর নয়, পরের বার - সামনের পূজোটা যাক – এই করে করে আর হয়ে ওঠেনি। মা কিছু বললেন না, বাবাকে ইশারা করলেন উত্তর দিতে। বাবা গলা ঝেড়ে, একটু কেশে উত্তর দিলেন, ‘না, মানে। ভেবেছি দুভাইয়ের একসঙ্গেই দিয়ে দেব। তা হাজার ঝামেলায় - ওই দোবো দোবো করে আর দেওয়া হচ্ছে না’।
‘আর
কতদিন ভাববে? উপনয়ন সংস্কারের নিয়ম বিধি জানা আছে? উপনয়নের একটা বয়স সীমার ব্যাপার
আছে, সেটা তো তোমারও না জানার কথা নয়, বৌমা। হীরকের সে বয়স অতিক্রান্ত, পান্নাও সে
বয়সের উপান্তে। তোমরা যদি ওদের পৈতে দেবে না ঠিক করে ফেলে থাক, সেক্ষেত্রে আমার
কিছু বলার নেই – কারণ তোমরা এখন আধুনিক সংস্কৃতির প্রবাহে ভাসমান...’।
‘না,
না। ওদের পৈতে হবে না, তা কি করে হয়, কাকামশাই। আসলে কলকাতার এই বাসায় হবে, না
গাঁয়ের ভিটেয় হবে – এই এক চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে’। মা ভীষণ চিন্তিত স্বরে
বললেন ‘কলকাতার এতটুকু বাসায়, লোক-জন, আত্মীয়-স্বজন, তারওপর এরমধ্যেই ওদের
দুভাইয়ের একঘরে তিনদিন আলাদা থাকা – সব মিলিয়ে মনে হয়, এ বাসায় ও অনুষ্ঠান সম্ভব
নয়। গাঁয়ে গিয়ে করতে পারলে সবচে’ ভালো হতো, পৈতৃক ভিটে বলেও কথা। কিন্তু সেখানেও
সবাই মিলে গিয়ে – যোগাড়-যন্ত্র - অন্ততঃ দিন দশেক অফিস-স্কুল-কলেজ কামাই – তার
ওপর...মানে...তার ওপর খরচও হবে অনেক বেশি’।
মেজদাদু শুনলেন, কিছু বললেন না। মুগডাল দিয়ে কুমড়োর বড়া শেষ করে নতুন ভাত ভাঙলেন, মা লক্ষ্য রেখেছিলেন – আলু-পটলের তরকারি দিলেন মেজদাদুর পাতে। তরকারি দিয়ে ভাত মেখে মুখে গ্রাস তুলে বললেন, ‘অপূর্ব। বৌমা, এ সময় রোজ পটল খেতে খেতে একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল, তোমার হাতে পড়ে কি করে তার এমন স্বাদ হয় বল তো? আরেকটু ঝোল দাও তো মা, ওই দেখ আবার পটল দিলে – তোমার জন্যেও রেখো বৌমা’।
মা বললেন, ‘আমাদের আছে, আপনি খান না’।
খুব তৃপ্তির হাসি মুখে নিয়ে মেজদাদু বললেন, ‘ধর্ম মানে কি জানো তো বৌমা – যা ধরে থাকে। কি ধরে থাকে বল তো?’ আরেক গ্রাস ভাত মুখে নিয়ে বললেন, ‘আমাদের সমাজ, আমাদের জীবন, আমাদের সম্পর্ক। এই যে এত যত্নে রান্না করে তুমি আমাদের খাওয়াও – এর সঙ্গে মিশে থাকে তোমার শ্রদ্ধা, ভক্তি – গড়ে ওঠে অটুট সম্পর্ক। বেড়ে ওঠে জীবনের আনন্দ – এই আনন্দটাই ধর্ম। ধর্ম সঠিক অর্থে মানুষকে কোনদিন বিপন্ন করতে পারে না। মানুষ বিপন্ন হয় এবং অন্য মানুষকে বিপন্ন করে অন্ধ বিশ্বাস আর মনগড়া কিছু লোকাচার মানার জিদ থেকে’।
পটলের তরকারি দিয়ে মাখা ভাত শেষ করে আবার নতুন ভাত ভাঙলেন মেজদাদু, সেই দেখে মা মাছের তরকারি দিলেন – বড়ো আংটির মতো রুইমাছের একটা পিস, দুটো লম্বা ফালি করে কাটা আলু আর ঝোল। মেজদাদু আলুদুটো ভেঙে ঝোল দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে বললেন, ‘আসল কথাটা হচ্ছে, হীরক আর পান্নার পৈতে - এটা আমাদের ধর্ম, আমাদের সংস্কার। তাতে তোমাদের সাধ আর সাধ্যর মধ্যে ফারাক থেকে যাচ্ছে, তার মানে তোমরা একভাবে বিপন্ন...’। ঝোলমাখা ভাত এক গ্রাস মুখে নিয়ে, মাছের একটা টুকরো মুখে নিলেন, একটা বড় কাঁটা মুখ থেকে টেনে বের করে বললেন, ‘এটা তো ধর্ম হতে পারে না, বৌমা। ধর্ম যদি আমাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়, সমাজে থেকেও যদি আমরা অসহায় হয়ে পড়ি, তাহলে সে সমাজের, তুমি কি উন্নতি আশা করবে? ধর্ম কি শুধু সর্বস্বান্ত হয়ে পূজোয় ঢাক বাজানো? যদি তাই হয় - সে ধর্ম দিয়েই বা তুমি কি করবে...’?
মেজদাদু চুপ করলেন। খুব মন দিয়ে ভাত খেতে লাগলেন। মা আরেকটু ভাত দেবার চেষ্টা করেছিলেন, নিলেন না। খুব গভীর কোন চিন্তায় আচ্ছন্ন মেজদাদু কাঁসার থালা চেঁটেপুটে পরিষ্কার করে ফেললেন। বাবা মা কেউ কথা বললেন না। মা আলাদা চিনেমাটির প্লেটে আমের চাটনি দিলেন, কারণ কাঁসার থালায় টক জিনিষ নষ্ট হয়ে যায় - বিস্বাদ হয়ে যায়। মেজদাদুর মুখে দিব্য হাসি, মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কিছুই বাদ রাখো নি, বৌমা। গরমের সময় কাঁচা আমের চাটনি বড় উপাদেয়, তাই না, পান্নাভাই’? তারপর ভীষণ তৃপ্তির সঙ্গে চাটনিও শেষ করলেন। আমাদের তখনো খাওয়া হয় নি। মেজদাদু বসে রইলেন।
কিছুক্ষণ পরে বললেন, ‘তোমার যদি আপত্তি না থাকে বৌমা, আমি নিজে তোমার দুই পুত্রের উপনয়ন যজ্ঞের হোত্রী হব। পূর্ণ শাস্ত্র বিধান মেনে, সামবেদীয় পদ্ধতিতে। ওদের তিনদিন অসূর্য্যম্পশ্যও থাকতে হবে না। আর কলকাতার এই বাসাকেই এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করো। কোন অসুবিধে নয়, কোন ব্যয়বাহুল্যও নয়। কিন্তু বিধিসম্মত ধর্মপালন হওয়া চাই’।
-০০-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন