অণুগল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অণুগল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

গিরগিটি

 

[প্রত্যেকটি লেখা সরাসরি আপনার মেলে পেতে চাইলে, ডান দিকের কলমে "ফলো করুন" 👉 

বক্সটি ক্লিক করে নিজের নাম ও মেল আইডি রেজিস্টার করে নিন] 


[আরেকটি অণু গল্প পাশের সূত্রে পড়া যাবে "পুরানা বিক্রি"]


রাম দৌড়তে দৌড়তে এসে হাঁফিয়ে থামল, বলল, “ওগো বাবাগো, ঝোপ থেকে বেরিয়ে, এত্তো বড়ো কী একটা এসে আমার পায়ে কুটুস কামড়ে দিল”!

যদু বলল, “কী একটা কি রে? কী কামড়াল, তাকিয়ে দেখিসনি?”

“মাথাটা ঘুরে উঠতে, দেখতে আর পেলাম কই? তবে রঙটা যেন গেরুয়া...”

মধু বলল, “আমাকেও সেদিন ঘাড় নেড়ে নেড়ে মুখ ভেঙাচ্ছিল...তবে তার রঙ ছিল সবুজ”।

শ্যাম বলল, “উঁহু, লাল। গত মঙ্গলবার হাটে যাওয়ার সময়, সামনের রাস্তাটা কেটে দিয়ে পাশের ঝোপে ঢুকে পড়ল, আর আমিও ঘাসের ডগায় হোঁচট খেয়ে পড়লাম আর বাঁ-পায়ের গোড়ালি মচকালাম”।

যদু বলল, “ধুর ব্যাটা, ওটা তো গিরগিটি। আগে “বহুরূপী” বলে খুব নাম করেছিল। এখন আমাদের দেখে হিংসেয় জ্বলছে, রঙ বদলানোয় আমরা বেশ ক'বছর হল, ওদের হারিয়ে দিয়েছি যে!”

--০০--

     

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

পুরানা বিক্রি (অণু গল্প)

 

    পুজোর আগে ঘরদোর সাফ করাটা সংসারের একটা বড় কাজ। দেয়ালে, সিলিংয়ে, পাখার ব্লেডের ঝুল ঝাড়া। আচারের শিশি, সসের বোতল জমে উঠেছে খাবার টেবিলের একধারে। সব ফেলতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অবান্তর জিনিষ - সব বাতিল। ও হ্যাঁ, গতবার মায়ের ভোগ কিনে খাওয়া হয়েছিল, ওরা দিয়েছিল মাটির নকশা করা পাতিল  – সেটাও এবার বাতিল। পুরোনো খবরের কাগজগুলোর গতি করতে ডাকলাম পুরোন কাগজ বিক্রিওয়ালাকে। বারো কেজি কাগজ, সঙ্গে ছ কেজি বই।

কাগজওয়ালা তার বিশাল বস্তায় ভরে নিল সবকিছু, গেঁজ থেকে টাকা বের করতে করতে জিজ্ঞাসা করল, “পুরোনো লোহা-লক্কড় নেই?” না । “পুরোনো ঘড়ি, ইনভার্টার নেই”? “না নেই”। “পুরোন মেরুদণ্ড?” 

“পুরোন মেরুদণ্ডও বিক্রি হয়? কত দাম পাওয়া যাবে?” 

--০০--         

নতুন পোস্টগুলি

ধর্মাধর্ম - ৩/২

  ["ধর্মাধর্ম"-এর তৃতীয় পর্বের প্রথম পর্বাংশ  পড়ে নিতে পারেন এই সূত্র থেকে " ধর্মাধর্ম - ৩/১ " তৃতীয় পর্ব - দ্বিতীয়  পর্...